মাঠার পুষ্টিগুণ ও প্রস্তুত প্রনালী




ঢাকার অলিতে গলিতে আগে এক সময় মাঠা বিক্রি করা হতো।গোয়ালারা প্রতি দিন সকালে মাথায় হাঁড়ি নিয়ে মাঠা ফেরি করে বেরাতো। প্রাচীন কালে ঢাকার মাঠা ছিলো অনেক সুস্বাদু। ঢাকায় প্রায় 100 বছর আগে থেকেই মাঠা খাওয়ার প্রচোলন শুরু হয়।শীত কালে বিশেষ ভাবে মাঠার কদর বেশি ছিল। একটি ছোট মাটির পাত্রে একটু মাখন ও লবণ ছিটিয়ে তা পরিবেশন করা হতো।

এর পুষ্টিগুণ:
মাঠা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ঘোল। মাখন বা পনির তৈরির সময় এই ঘোল পাওয়া যায়। এই ঘোলের মধ্যে দুধের প্রায় সকল পুষ্টিমান বিদ্যমান থাকে। ফলে যারা দুধ খেতে পারে না তারা মাঠা খেতে পারেন। এতে দুধের পুষ্টির চাহিদা মিটবে।

প্রাপ্তি স্থান:
পুরান ঢাকার শাখারি বাজারের ছানা মাঠা সুস্বাদু এবং বিখ্যাত। শাখারি বাজারের পুলিশ ফাড়ির সামনে এবং স্বর্ণমন্দিরের আশেপাশে হিন্দু ধর্মের লোকেরা এই ছানা মাঠা তৈরি করে। সকাল 8টা থেকে 9 টার মধ্যে মাঠা বিক্রি শেষ হয়। ইসলামপুর, লক্ষীবাজার, নবাবপুর, একরামপুর, চকবাজার, লালবাগ, উর্দ্দু রোড, আমলিগোলা, জিন্দাবাজার, ওয়ারী, কায়েতটুলি, নাজিরাবাজার, নারিন্দা, নাজিমুদ্দিন রোড এই সকল এলাকায় মাঠা বিক্রি হয়।

তৈরি উপকরণ:
1. 4 কেজি দুধ
2. 1 কাপ চিনি বা পরিমাণ মতো
3. লবণ পরিমাণ মতো
4. আমান্ড এবং পেস্তাবাদান বাটা
5. পাতিলেবুর রস আধা কাপ

তৈরি প্রণালি:

দুধ ভালো করে ঘুটে তা থেকে ননি বা মাখন বের করে তাতে চিনি, লবণ, বাদাম পেষ্ট এবং পাতিলেবুর রস দিয়ে ভালো ভাবে বেল্ডে করতে হবে। এবার গ্লাসে কয়েক টুকরো বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

নবীনতর পূর্বতন