Follow Us @soratemplates

মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

আজকের বিষয় “ স্ক্যাবিস “ বর্তমান সময়ে সারা দেশের মানুষের জন্য একটি যন্ত্রনাদায়ক নাম

এপ্রিল ২৯, ২০২৫ 0 Comments

দীর্ঘ সময় ধরে আমি এবং আমার পরিবারের ছোট বড় সকল সদস্যরাই একটি বিরক্তিকর সমস্যার মধ্যদিয়ে যাচ্ছি। সারা শরীরের চুলকানী, আর শরীরর চিটচিটে অবস্থা। পরিশেষে ডাক্তারের মাধ্যমে যানতে পারলাম এই চুলকানি প্রায় জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। 

হে , বিরক্তিকর বিষয়টি হলো চুলকানি। এই চুলকানির প্রধান কারন হলো স্ক্যাবিস রোগ। তাই অনেক কিছু দেখে বিভিন্ন তথ্য থেকে আজ লেখতে বসলাম স্ক্যাবিস নিয়ে।

 

স্ক্যাবিস কি? 

 স্ক্যাবিস (Scabies) একটি চর্মরোগ যা সারকপটিস স্ক্যাবি (Sarcoptes scabiei) নামক একটি অতি ক্ষুদ্র পরজীবী মাইটের (mite) কারণে হয়। এটি চামড়ার নিচে গর্ত করে ডিম পাড়ে এবং এতে তীব্র চুলকানি ও ফুসকুড়ির মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

স্ক্যাবিসের প্রধান লক্ষণ:

  • তীব্র চুলকানি, বিশেষ করে রাতে বিছানা ঘুমনর সময় বেড়ে যায়। ছোট ছোট লাল গুটি বা ফুসকুড়ি, আঁচড়ের দাগ।

  • শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল ফুসকুড়ি বা গোটা গোটা দাগের মত

  • হাত ও পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে, হাতের কবজি, কোমরের অংশে, নাভির চারপাশে, কোমরের নিচে, বা যৌনাঙ্গে বেশি দেখা যায়

  • শিশুদের ক্ষেত্রে মুখ, মাথার তালু ও হাত-পায়েও হতে পারে 

সংক্রমণ কীভাবে হয়:

  • আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে থাকলে, ঘনিষ্ঠ শারীরিক যোগাযোগ

  • আক্রান্তের ব্যবহার করা কাপড়, বিছানার চাদর বা তোয়ালে ব্যবহার করলে

চিকিৎসা:

  • ডাক্তারের পরামর্শে প্রেস্ক্রিপশনযুক্ত স্ক্যাবিস প্রতিরোধী ক্রিম বা লোশন (যেমন: পারমেথ্রিন)

  • সব সদস্যকে একসাথে চিকিৎসা করানো জরুরি

  • পোশাক, বিছানার চাদর, তোয়ালে গরম পানিতে ধোয়া উচিত

     

    স্ক্যাবিস প্রতিরোধের উপায়:

  • আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিবারের সকল সদস্যকে একসাথে চিকিৎসা করা

  • ব্যবহৃত জামাকাপড়, বিছানার চাদর, তোয়ালে ইত্যাদি গরম পানিতে ধুয়ে ধূপে শুকানো

  • আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা

  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা

  • প্রয়োজনে ঘরের মেঝে বা ব্যবহৃত আসবাব পরিষ্কার করা

  •  নিয়মিত গোসল করা। 


    সবশেষে বলবো সবাই পরিষ্কার এবং সচেতন থাকুন। সুস্থ্য থাকুন।


     

ক্যারিয়ার গঠনের পথচলা: সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে সাফল্যের যাত্রা প্রথম ধাপ।

এপ্রিল ২৯, ২০২৫ 0 Comments

 


বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক যুগে ক্যারিয়ার শুধু জীবিকা অর্জনের মাধ্যম নয়, বরং এটি একজন মানুষের পরিচয়, আত্মমর্যাদা ও জীবনের লক্ষ্যকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার অন্যতম উপায়। তাই একজন শিক্ষার্থী হোক বা নবীন চাকরিপ্রার্থী, সবার কাছেই ক্যারিয়ার গড়ার সঠিক দিকনির্দেশনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

📌 ক্যারিয়ার পরিকল্পনা কেন জরুরি?

অনেকেই ভাবে সময় এলেই কাজ পাওয়া যাবে বা জীবন নিজে থেকেই গড়ে উঠবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, পরিকল্পনা ছাড়া পথচলা মানেই অনিশ্চয়তায় ডুবে থাকা। ক্যারিয়ার পরিকল্পনা:

  • লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়তা করে

  • নিজের দক্ষতা ও দুর্বলতা চিহ্নিত করতে সাহায্য করে

  • ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত করে

🔍 কোন ক্যারিয়ারটা আমার জন্য?

সঠিক ক্যারিয়ার বেছে নিতে নিচের প্রশ্নগুলো নিজেকে করুন:

  • আমি কোন কাজে আনন্দ পাই?

  • কোন বিষয়ে আমি ভালো পারফর্ম করি?

  • আমার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য কী?

  • আমার মূল্যবোধ এবং পছন্দের সাথে কোন পেশা সামঞ্জস্যপূর্ণ?

আপনার আগ্রহ ও দক্ষতার ভিত্তিতে ক্যারিয়ার নির্বাচন করলে সেই পেশায় সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

🛠️ দক্ষতা গড়ার গুরুত্ব

শুধু ডিগ্রি থাকলেই হয় না—আজকের যুগ চায় দক্ষ জনশক্তি। কিছু গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা যা যেকোনো পেশায় সাহায্য করে:

  • যোগাযোগ ও উপস্থাপনার ক্ষমতা

  • প্রযুক্তিগত দক্ষতা (যেমন: ডিজিটাল মার্কেটিং, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক ডিজাইন)

  • সমস্যা সমাধানের কৌশল

  • দলগতভাবে কাজ করার যোগ্যতা

  • নেতৃত্বগুণ

🌱 ক্যারিয়ারে ধৈর্য ও মানসিকতা

সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সময় লাগে। তাই:

  • হতাশ না হয়ে ছোট ছোট সাফল্যকে মূল্য দিন

  • ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিন

  • সবসময় শেখার মানসিকতা রাখুন

  • নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ও ভারসাম্য বজায় রাখুন

💡 কিছু পরামর্শ

  • প্রতিদিন ৩০ মিনিট সময় দিন নিজের দক্ষতা বাড়াতে

  • অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন

  • নেটওয়ার্ক তৈরি করুন—লিংকডইন, ইভেন্ট, কর্মশালা

  • নিজের একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন

  • সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে আপডেট রাখুন


শেষ কথা

একটি সফল ক্যারিয়ারের জন্য প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস, পরিকল্পনা ও নিয়মিত চেষ্টা। আপনি যদি নিজের লক্ষ্য স্থির করেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেন, তবে সফলতা শুধু সময়ের অপেক্ষা। মনে রাখবেন—ক্যারিয়ার একটি দীর্ঘমেয়াদি যাত্রা, যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ।

রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

জীবনে ইতিবাচক থাকার ৫টি সহজ উপায়

এপ্রিল ২৭, ২০২৫ 0 Comments


আজকের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় ইতিবাচক থাকা যেন একটা বড় চ্যালেঞ্জ। চারপাশের নানা চাপ, অনিশ্চয়তা এবং দুশ্চিন্তা মাঝে মাঝে আমাদের মনকে ভারাক্রান্ত করে তোলে। তবে কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তুললে আমরা নিজেদের মনোভাব পরিবর্তন করে আরো সুখী ও সাফল্যময় জীবন কাটাতে পারি। চলুন জেনে নিই ইতিবাচক থাকার ৫টি সহজ উপায়:

১. প্রতিদিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন

ছোট ছোট বিষয়েও কৃতজ্ঞ হওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতিদিন সকালে বা রাতে তিনটি বিষয় লিখে ফেলুন, যেগুলোর জন্য আপনি কৃতজ্ঞ। এই ছোট্ট অভ্যাসটাই মনকে সুখী রাখে।

২. নিজের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন

নিজেকে দোষারোপ বা কঠোর সমালোচনা করার বদলে নিজের ভুল থেকে শিখুন এবং নিজেকে ক্ষমা করতে শিখুন। নিজের বন্ধু হোন, শত্রু নয়।

৩. আশাবাদী মানুষের সাথে সময় কাটান

যাদের সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগে, যাঁরা আপনাকে উৎসাহ দেন, তাদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটান। নেতিবাচক মানুষের প্রভাব থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।

৪. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন

ভালো খাবার খান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং পর্যাপ্ত ঘুমান। শরীর ভালো থাকলে মনও অনেক বেশি ভালো থাকে।

৫. নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন

নতুন কোনো দক্ষতা অর্জন করুন, কোনো বই পড়ুন, বা নতুন কোনো শখ গড়ে তুলুন। শেখার আনন্দ আপনাকে নতুন করে অনুপ্রাণিত করবে।