Follow Us @soratemplates

Thursday, December 20, 2018

পিএসসি পরীক্ষার ফলাফল দেখার নিয়ম জেনেনিন

December 20, 2018 0 Comments

কিভাবে জানতে পারবেন ২০১৮ সালের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল


আনুমানীক আগামী 23-27 ডিসেম্বর এর মধ্যে প্রকাশ করা হবে 2018 সালের প্রাথমিক এবং ইবতেদায়ী পরীক্ষার ফলাফল। সকাল 11 টায় প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফল হস্তান্তর করা হবে শিক্ষা মন্ত্রনালায় হতে। এর পর উক্ত ফলাফল দুপুর 2: 00 টায় মোবাইলে ও অনলাইনের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে এর ফলাফল দেখা যাবে। ওয়েবসাইটি হলো-
http://dperesult.teletalk.com.bd/dpe.php
এছাড়া মোবাইলে পরীক্ষার ফলাফল দেখার নিয়মঃ
প্রাথমিক ও শিক্ষা সমাপনীঃ
DPE পরীক্ষার্থীর আইডি নম্বর পাশের বছর, এরপর Send করুন 16222 নম্বরে।
যেমন: DPE  1120172060810798   2018        Send করুন 16222 নম্বরে।
ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীঃ
EPE পরীক্ষার্থীর আইডি নম্বর পাশের বছর, এরপর Send করুন 16222 নম্বরে।
যেমন: EBT   1120172060810798    2018         Send করুন 16222 নম্বরে।

Monday, December 17, 2018

মরনব্যাধি নিপা ভাইরাস

December 17, 2018 0 Comments


নিপা ভাইরাস


Image result for খেজুর রস
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে চলছে শীত ঋতু। শীতের সময় আমাদের শরীরের নানা ধরনের রোগ ও সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এমনি একটি হচ্ছে নিপা ভাইরাস। এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এর বাহক বাদুর। এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায় প্রথম মালয়েশিয়ায়। ১৯৭৮ সালে মালয়েশিয়ায় এর পাদুরভাব দেখা দেয়। মালয়েশিয়ার নেজেরি সেমভিলান রাজ্যের সুংগাই নিপাহ নামক এক গ্রামে এর প্রথম দেখা দেয়। তাই এই গ্রামের নাম অনুসারে নিপা নামকরণ করা হয়। Dr. Chua Kaw Bing. এক এই ভাইরাস আবিষ্কার করেন।  

যেভাবে ছড়ায়: বাদুড়ের মুখের লালা, মুত্র ও শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। খেজুরের কাঁচা রস, বাদুরে খাওয়া ফলমুল এর মাধ্যমে মানুষের শরীরের এই ভাইরাস প্রবেশ করে। ভাইরাসটির কার্যকারী সংক্রামক হওয়ায় তা মানুষ থেকে মানুষের শরীরেও ছড়ায়। রাতের বেলা বাদুর যখন গাছের ফলমুল এবং খেজুরের রস খেতে যায় তখন তার মুখের লালা এর মধ্যে পড়ে ভাইরাসটি ছড়ায়। 


রোগের লক্ষণ:  এই ভাইরাস যখন মানুষের শরীরের প্রবেশ করে তখন আক্রান্ত ব্যক্তির  জ্বরসহ মাথাব্যথা হয়ে থাকে। এছাড়াও খিঁচুনি, প্রলাপ বকা, অজ্ঞান হয়ে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টও হয়ে থাকে। চিকিৎসকদের মতে এই রোগে আক্রান্ত প্রায় 70% ভাগ রোগী মারা যায়। তাই এর হাত থেকে বাঁচতে সচেতন থাকতে হবে। 


সর্তকতা: নিপা ভাইরাস নিরাময়ের জন্য এখন পর্যন্ত তেমন কোন ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার হয় নাই। কোন ব্যাক্তির শরীরের উপরের লক্ষণ গুলো দেখাদিলে যতদ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যাওয়া। নিপা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে আমাদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে- 
ক) কাঁচা খেজুরের রস খাওয়া যাবে না। 
খ) পাখি বা বাদুরের আধা খাওয়া কোন ফল খাওয়া বা ধরা থেকে বিরত থাকা। 
গ) আক্রান্ত ব্যাক্তির শারীরিক সংস্পর্শ থেকে দুরে থাকা। 
ঘ) রোগীর ব্যবহারের খাবারের পাত্র আলাদা করতে হবে।
ঙ) রোগীর সেবা যত্নের পার ভাল করে পরিষ্কার হওয়া।
চ) রোগীর কফ ও থুতু যেখানে সেখানে না ফেলে একটি পাত্রে রেখে তা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। 


চিকিৎসা: এখন পর্যন্ত এই রোগের তেমন কোন চিকিৎসা বের হয় নি। সঠিক ভাবে রোগীর সেবা যত্ন করলে রোগী ভাল হতে পারে। এর জন্য আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আর আগ্রান্ত রোগীকে দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। এই রোগের হাত থেকে বাঁচতে সচেতনতাই প্রথম এবং প্রধান উপায়। 






Saturday, December 1, 2018

বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করুণ সুখি দাম্পত্য গড়ুন

December 01, 2018 0 Comments


বিয়ে হলো একটি সামাজিক বন্ধন। এটি একটি বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে নারী ও পুরুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিয়ে বিশ্বের সকল দেশের মানুষের সম্পর্ক স্থাপনের একটি চুক্তি। তবে একেক দেশে এর একে রকম সংজ্ঞা, আচার অনুষ্ঠান, নিয়ম নিতি।এর মাধ্যমে নারী পুরুষের বৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠার পাশাপাশি বংশ রক্ষাও হয়ে থাকে। আমাদের সমাজে বিবাহের জন্য যখন আলোচনা হয় তখন আমরা দেখি ছেলে মেয়ের পরিবার কেমন?, ছেলে কি করে, উভয় পক্ষের সামাযিক মর্যাদা ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের বিয়ের আগে আরও কিছু বিষয় জানা। যা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য প্রয়োজন।  

সময়ের সাথে সাথে যেমন পরিবেশ ও জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে ঠিক তেমনি ভাবে মানুষের শরীরে দেখা দিচ্ছে আরও নানা ধরণের রোগও। বিজ্ঞান যত অগ্রসর হচ্ছে রোগের প্রভাবও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এমন কিছু রোগ আছে যেগুলো মানুষের শরীরে বাসা বাঁধে যা পরবর্তিতে নিজের ও নতুন প্রজন্মের জন্য হুমকির সরুপ। তাই আমাদের উচিৎ বিয়ের আগে অন্য সকল কিছুর মত বর কনের কিছু শারীরিক পরীক্ষা করে নেয়া। এতে করে সুখি দাম্পত্য জীবনের অনেক জটিলতা থেকে দুরে থাকা যাবে। তেমনি কিছু রোগ ব্যধি নিয়ে আজকে আমার ছোট্ট জ্ঞানের প্রকাশ করবো আপনাদের মাঝে। আধুনিক সমাজে আমরা অবস্য সকলেই এই সকল রোগ সম্পর্কে অবগত আছি। তবুও আমি আপনাদের জন্য একটু গুছিয়ে মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো।

আমাদের প্রত্যেক নারী পুরুষেরই এখন বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষাসহ কিছু পরীক্ষা করা প্রয়োজন। যেমন থ্যালাসেমিয়া, হেপাটাইটি, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েড, কিডনি পরীক্ষা।

রক্তের গ্রুপ: বিয়ের আগে বর কণের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করা খুবই প্রয়োজন। রক্তের গ্রুপের ভিন্নতার কারণে পারিবারিক জীবনে অনেক ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়। যদি নারী এবং পুরুষের রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ ও পজেটিভ হয়ে থাকে তবে তাদের সন্তান জন্মদানের সময় কিছু কিছু জটিলতা তৈরি হতে পারে। এর ফলে গর্ভপাত ও শিশু মৃত্যুও হতে পারে। তাই  বিয়ের আগে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

থ্যালাসেমিয়া: এই রোগের জীবানু অনেক মানুষের শরীরের লুকিয়ে থাকে। কিন্তু আমরা তা বুঝতে পারি না।তবে যদি বর এবং কনের শরীরে এই রোগের জীবানু থাকে তবে তাদের যে সন্তান জন্ম হবে তার এই রোগ আক্রান্ত হবে। এই রোগের ফলে রক্তের হিমোগ্লবিন কমে যায়। যার দরুণ রক্তের লহিত কনিকা তৈরী হতে পারে না। ফতে রোগীকে প্রতি তিন থেকে আট সাপ্তাহ পর পর রক্ত নিতে হয়। নিয়মিত রক্ত নেয়ার কারণে রোগীর হার্ট ও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বা শরীরের অন্য কোন ক্ষতিও হতে পারে। শিশুর জন্মের পর পরই এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় না। শিশুর বয়স যখন 1 বছরের মত হয় তখন তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফ্যাকাসে হয়ে যায়, শিশুর দুর্বলতা দেখা দেয়,  অবসাদ অনুভব করে, শ্বাসকষ্ট হয়, মুখমণ্ডল ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া,  ত্বক হলদে হয়ে যাওয়া, মুখের হাড়ের বিকৃতি, ধীরগতিতে শারীরিক বৃদ্ধি, পেট বাইরের দিকে প্রসারিত হওয়া, গাঢ় রঙের প্রস্রাব ইত্যাদি সমস্যার প্রকাশ পায়। এ জন্য বিয়ের আগে নারী পুরুষ উভয়ের উচিৎ পরীক্ষা করা।

হেপাটাইটিস: হেপাটাইটিস একটি মারাত্যক রোগ। এর ফলে মানুষের লিভারের সমস্যা সহ লিভার অকেযো হয়ে যায়। এই জন্য প্রত্যেকের উচিৎ এর পরীক্ষা করে দেখা হেপাটাইটিস-এ, বি, সি এর জীবানু আছে কিনা। নারী বা পুরুষের কারো শরীরের যদি এর জীবানু থেকে থাকে তবে স্বামী বা স্ত্রীর মাধ্যমে একে অনের শরীরে এই রোগ ছড়াবে। আর তাদের থেকে যে সন্তান জন্ম নিতে তার শরীর এই রোগে আক্রান্ত হবে। এর জন্য উচিৎ বিয়ের আগে এর পরীক্ষা করা আর এর জন্য ভ্যাকসিন নিয়ে নেওয়া।

থাইরয়েড: এটি এমন একটি রোগ যা নারী বা পুরুষের শরীরে থাকলে তা সন্তান জন্ম দানের সময় অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই বিয়ের আগেই এর পরীক্ষা করে নেওয়া ভালো। এ ছাড়া অ্যানিমিয়া আক্রান্ত পাত্রীরও বিয়ের পর সন্তান নিতে গেলে অনেক সময়ই সমস্যায় পড়তে হয়।

কিডনি: কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই আমাদের কিডনি ভালো রাখার জন্য সচেতন থাকতে হবে। বিয়ের আগে আমাদের উচিৎ এর পরীক্ষা করা। যাতে করে জন্মের সন্তান নিরাপদ থাকে। কারন এই সমস্যা শিশুর শরীরে প্রবেশ করে। এ জন্য আমাদের আগেই এর চিকিৎসা করে নেয়া বা সন্তান জন্মদানে সচেতন হওয়া।

এছাড়া আরো অনেক রোগ আছে যেগুলো পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে বিয়ের সিধান্ত নেয়া। যাতে করে ভবিষ্যত জীবন সুখী ও সমৃদ্ধ হতে পারে। এইডস, মানসিক স্বাস্থ্য, সেক্সুয়াল হেলথ সমস্যা এবং ডয়াবেটিস এগুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া। এই পরীক্ষাগুলো করার পরে কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে নিজেকে তৈরি করে বিয়ের পিড়িতে বসা উচিৎ।
তথ্য সূত্র: ইন্টারনেটের বিভিন্ন সূত্র থেকে।

Sunday, November 4, 2018

ভিটামিন সি এর ডিব্বা

November 04, 2018 0 Comments
বাংলাদেশের মাটিতে অনেক ধরনের উদ্ভিদ হয়ে থাকে। ফলজ, বনজ, ঔষধি ও বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ। তেমনি আমাদের দেশে এমন অনেক ফলজ উদ্ভিদ আছে যা মানুষের পুষ্টি ও খাদ্যের চাহিদায় থাকে। এই সকল ফলের মধ্যে অনেকগুলো ঔষধি গুনসম্পণ। তেমনি একটি ফল হলো আমলকি। যা আমাদের দেশ প্রচুর পরিমানে হয়ে থাকে। ত্রিফলা হিসেবে পরিচিত তিনটি ফলের মধ্যে আমলকী একটি।

আমলকী এক প্রকার ভেষজ ফল। এর ইংরেজি নাম - amla. এর বৈজ্ঞানিক নাম- Phyllanthus emblica. এর স্বাদ খাওয়ার সময় অনেকটা কষ কষ লাগলেও পরে মুখে মিষ্টি ভাব আসে। 



পুষ্টি গুণ: 

আমলকীতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে। পুষ্টি বিশেষগ্যদের মতে এই ফলে পেয়ারা হতে ৩ গুন ও কাগজি লেবুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। কমলার চেয়ে ১৫ গুণ, আপেলের তুলনায় ১২০ গুণ আমের তুলনায় ২৪ গুণ ও কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন সি আছে।
আমলকীর ভিটামিনের পুরিমান হিসেবে দেখা যায় যে, আমরা যদি প্রতি দিন  একটি করে আমলকী খেতে পারি, তবে ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজন হবে না।



উৎপাদিত পন্য:

আমলকী থেকে অনেক খাবার তৈরি করা যায়। আমলকীর আচার, মোরব্বা ও আমলকী ভর্তা। এরছাড়াও বাজারে আমলকীর পাউডার পাওয়া যায় যা রান্নায় ব্যবহার হয়। বাজারে শুকনা আমলকী পাওয়া যায় যা ভিজিয়ে শরবত খাওয়া হয়। কাঁচা আমলকীও শরতব করে খাওয়া যায়।



এর উপকারিতা ও ব্যবহার:

আমলকী চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয়। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে, চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি চুলের খুসকি দুর করে এবং চুল পাকা থেকে রক্ষা করে। এর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। পেটের গোলযোগ, বদহজম দুর করে। পেটে গ্যাস এ্যাসিডিটিতে আমলকী কাজে দেয়। প্রতি দিন সকালে মধু ও আমলকীর রস খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি, খাবারে রুচি বাড়ায়।  এ্যাজমার রোগিদের জন্য এর জুস খুব উপকারী। সর্দি- কাশি, রক্তশূণ্যতায় বেশ ভালো কাজ করে। 

পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রভাবে প্রাণীকুল

November 04, 2018 0 Comments



সবুজ শ্যামল আমাদের এই দেশ বাংলাদেশ। আমাদের এই দেশ সুন্দর প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। কিন্তু এখন তা আর আগের মত নেই। সবকিছু এখন ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে। পরিবতর্ন আসছে আমাদের ছয় ঋতুতেও। ঋতু বৈচিত্র ঠিক আগের মত নেই। জলবায়ুর পরিবর্তন ও উষ্ণতার কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বন্যা আরও অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যার ফলে এর ক্ষতিকর প্রভাব পরছে আমাদের পরিবেশ ও প্রাণীকুলে। এই ধরনের দুর্যোগ পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে বন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, যার প্রভাব বৈচিত্রময় প্রাণী কুলের উপর পরে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশ থেকে অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদ বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং আরও অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদ বিলুপ্তির পথে।


আমাদের এই পরিবেশ ধ্বংসের জন্য আমরাই প্রথমত দ্বায়ি। নগরায়নের নামে বনভূমি উজার করে লোকালয় গড়েতুলছি। অনেক জলাশয়, খাল ভরাট করে আমাদের বসবাসের উপযোগী করে তুলছি। 


অতছ এই কাজের মাধ্যমে আমরা আমাদের বৈচিত্রময় প্রাণীকুলের বসবাসের জায়গা দখল করে তাদের বিপদের মুখে নিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক পশু, পাখি, জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।


পৃথিবীতে সর্ব প্রথম জীববৈচিত্র্যের তালিকা তৈরি করা হয় ১৬০০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে। এর আগে কোন দেশ এই জীববৈচিত্র্যের তালিকা নিয়ে ভাবেনি। জীববৈচিত্র্যের মহা সংকটের কথা ভেবেই এই চিন্তা করা হয়। ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়েগেছে অসংখ্য উদ্ভিদ এবং প্রাণীকুল। আবার অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী আছে যারা বিলুপ্তির পথে। বাংলাদেশেও রয়েয়েছে এমন অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী।
ম্যামালিয়ান কমিউনিটি অফ বাংলাদেশ এর মতে ১০০ বছরে বাংলাদেশের ৩১ প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে। আরো প্রায় ৩৯০টি প্রাণী বর্তমানে হুমকির মুখে।

বিলুপ্ত প্রাণীর মধ্যে রয়েছে- ডোরা কাটা হায়েনাধূসর নেকড়ে, নীলগাই, বনগরু, বনমহিষ, গন্ডার, বারো শিঙা হরিণ, কৃষ্ণষাঁড়, মন্থর হরিণ, ভালুক।
মহাবিপন্ন প্রাণীদের তালিকায় রয়েছে- রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হাতি, ভোঁদড়, লামচিতা, চিতা, বনরুই, উল্লুক, চশমা পরা হনুমান, বনগরু, সাম্বার হরিণ, প্যারাইল্লা বানর, হিমালয়ান ডোরা কাঠবিড়ালী  কালো ভালুক

পাখির মধ্যে বিলুপ্ত হয়েছে- লালমুখ দাগিডানা, সারস পাখি, ধূসর মেটে তিতির বাদা তিতির পাখি, বাংলার বিখ্যাত বাদি হাঁস, গোলাপি হাঁস, বড় হাড়গিলা বা মদনটাক, ধলাপেট বগ, সাদাফোঁটা গগন রেড, রাজ শকুন, দাগি বুক টিয়াঠুঁটি, লালমাথা টিয়াঠুঁটি, গাছ আঁচড়া, সবুজ ময়ূর চিরতরে দেশ থেকে হারিয়ে গেছে

উভচর প্রাণীদের তালিকা- চামড়া ঝোলা ব্যাঙ এবং কেঁচোর মতো দেখতে নীল রঙের একটি নতুন উভচর প্রাণীও মহাবিপন্ন উভচর প্রাণীর তালিকায় উঠে এসেছে। বিপন্নের তালিকায় এসেছে চিত্রিত ব্যাঙ, বেলুন ব্যাঙ, চ্যাপ্টা মাথা ব্যাঙ, ঝরনা সুন্দরী ব্যাঙ, বড় গেছো ব্যাঙ, মিঠা পানির কুমির, ঘড়িয়াল, বিভিন্ন প্রজাতির কাছিম।

এই সকল প্রাণীকুলকে বিপন্নের হাত থেকে রক্ষার জন্য আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। এরদেরকে শিকরা করা, পরিবেশ ও বন ধ্বংস করা বন্ধ করতে হবে। এদের বসবাসের জন্য পরযাপ্ত বনভূমি গড়ে তুলতে হবে। সরকারের পাশাপাশি জনগনকেও সচেতন হতে হবে। তাই আমাদের উচিৎ গাছ লাগানো, বৃক্ষরোপন করা।