আজকের বিষয় “ স্ক্যাবিস “ বর্তমান সময়ে সারা দেশের মানুষের জন্য একটি যন্ত্রনাদায়ক নাম

দীর্ঘ সময় ধরে আমি এবং আমার পরিবারের ছোট বড় সকল সদস্যরাই একটি বিরক্তিকর সমস্যার মধ্যদিয়ে যাচ্ছি। সারা শরীরের চুলকানী, আর শরীরর চিটচিটে অবস্থা। পরিশেষে ডাক্তারের মাধ্যমে যানতে পারলাম এই চুলকানি প্রায় জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। 

হে , বিরক্তিকর বিষয়টি হলো চুলকানি। এই চুলকানির প্রধান কারন হলো স্ক্যাবিস রোগ। তাই অনেক কিছু দেখে বিভিন্ন তথ্য থেকে আজ লেখতে বসলাম স্ক্যাবিস নিয়ে।

 

স্ক্যাবিস কি? 

 স্ক্যাবিস (Scabies) একটি চর্মরোগ যা সারকপটিস স্ক্যাবি (Sarcoptes scabiei) নামক একটি অতি ক্ষুদ্র পরজীবী মাইটের (mite) কারণে হয়। এটি চামড়ার নিচে গর্ত করে ডিম পাড়ে এবং এতে তীব্র চুলকানি ও ফুসকুড়ির মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

স্ক্যাবিসের প্রধান লক্ষণ:

  • তীব্র চুলকানি, বিশেষ করে রাতে বিছানা ঘুমনর সময় বেড়ে যায়। ছোট ছোট লাল গুটি বা ফুসকুড়ি, আঁচড়ের দাগ।

  • শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল ফুসকুড়ি বা গোটা গোটা দাগের মত

  • হাত ও পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে, হাতের কবজি, কোমরের অংশে, নাভির চারপাশে, কোমরের নিচে, বা যৌনাঙ্গে বেশি দেখা যায়

  • শিশুদের ক্ষেত্রে মুখ, মাথার তালু ও হাত-পায়েও হতে পারে 

সংক্রমণ কীভাবে হয়:

  • আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে থাকলে, ঘনিষ্ঠ শারীরিক যোগাযোগ

  • আক্রান্তের ব্যবহার করা কাপড়, বিছানার চাদর বা তোয়ালে ব্যবহার করলে

চিকিৎসা:

  • ডাক্তারের পরামর্শে প্রেস্ক্রিপশনযুক্ত স্ক্যাবিস প্রতিরোধী ক্রিম বা লোশন (যেমন: পারমেথ্রিন)

  • সব সদস্যকে একসাথে চিকিৎসা করানো জরুরি

  • পোশাক, বিছানার চাদর, তোয়ালে গরম পানিতে ধোয়া উচিত

     

    স্ক্যাবিস প্রতিরোধের উপায়:

  • আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিবারের সকল সদস্যকে একসাথে চিকিৎসা করা

  • ব্যবহৃত জামাকাপড়, বিছানার চাদর, তোয়ালে ইত্যাদি গরম পানিতে ধুয়ে ধূপে শুকানো

  • আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা

  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা

  • প্রয়োজনে ঘরের মেঝে বা ব্যবহৃত আসবাব পরিষ্কার করা

  •  নিয়মিত গোসল করা। 


    সবশেষে বলবো সবাই পরিষ্কার এবং সচেতন থাকুন। সুস্থ্য থাকুন।


     

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

নবীনতর পূর্বতন